সিটিএন:
বহুল আলোচিত জঙ্গী সালাহুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কক্সবাজারের পত্রিকার হকার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। ২১ জুন পত্রিকার ক্রয়ের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে সালাহুলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেন শহিদ। অভিযোগপত্রে সালাহুলের মাদ্রাসা ইমাম মুসলিম সেন্টারের ম্যানেজার আতিক উল্লাহকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জঙ্গী সালাহুলের মাদ্রাসায় মাসিক ভিত্তিতে একটি প্রথম আলো, একটি দৈনিক নয়াদিগন্ত, একটি দৈনিক কক্সবাজার, একটি দৈনিক বাঁকখালী, একটি আজকের দেশবিদেশ, একটি সকালের কক্সবাজার ও একটি আজকের কক্সবাজারসহ মোট ১০টি পত্রিকা সরবরাহ করতাম। কিন্তু টাকা দিবে দিবে করে তারা মাসিক ভিত্তিতে টাকা পরিশোধ করেসি। এতে করে জঙ্গী সালাহুলের কাছে ১৪ হাজার ৫৯২ টাকা ও আতিক উল্লাহর কাছ থেকে ১৩ হাজার ২২০ টাকা পাওনা থাকি আমি। দীর্ঘদিন ধরে টাকা চাইলেও তারা নানা তালবাহনা করে টাকা গুলো দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে সর্বশেষ ২০ জুন তারা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন।
হকার শহিদ জানান, অভিযুক্তরা পাওনা টাকাগুলো চাইতে গেলে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে। সর্বশেষ লাঞ্ছিত পর্যন্ত করেছে। এমনকি আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। তাই তিনি প্রতিকার পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘সালাহুলের বিরুদ্ধে জঙ্গী কার্যক্রমসহ অভিযোগের শেষ নেই। এবার পত্রিকার হকারও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আমরা প্রাথমিক ভাবে তা অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়েছি। পরে প্রয়োজন হলে মামলা হিসেবে রুজু করবো।’
কক্সবাজার শহরতলীর লিংকরোড়স্থ ইমাম মুসলিম সেন্টারের প্রধান সালাহুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সম্পৃক্তার অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা সলিডরিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)এর অন্যতম এই পৃষ্টপোষক রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে জঙ্গী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে। এই অভিযোগে তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত